আমার নাম বাসুদেব বেসরা , আমার 11th November 1996 সালে মুদিপুকুর গ্রামিন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জন্ম হয়। গ্রামের নাম- মাথুরাডাংঙা , পোষ্ট-মহেশপুর, থানা- বামনগোলা, জেলা- মালদা , পিন- ৭৩২১৩৮, রাজ্য- পশ্চিমবঙ্গ, দেশ- ভারত । বাবার নাম উকিল বেসরা মায়ের নাম তালামই হেমরম , বাবার একমাত্র পূত্র সন্তান ছিলাম আমি । আমাকে বাবা একজন চাকরি জিবি হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন তাই বাবা আমাকে, ধামৈর শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে ভূর্তি করেন । ছোট বেলা থেকে বাবা আমাকে খুব কঠিন ব্যাবহার করতেন । গ্রামের অন্য কোনো ছেলের সাথে আমাকে খুব একটা খেলতে দিতনা বাবা , বাবা আমাকে বিড়ি, সিগারেট ক্ষেতে দিতেন না, কারন আমার সমবয়সী সব ছেলেরাই এসব কাজ করতেন। বাবা আমাকে এসব খারাব কাজ থেকে দূরে সরে রাখতেন ঠিক আছে আমার খুব ভালো লাগছিল কিন্তূ যেই বাবা আমাকে বারণ করতেন সেই বাবা মদ, পচানি, বিড়ি খেতেন । আমাদের আদিবাসী সম্প্রদায়ের সমাজে (মদ, পোচানি) এগুলো ছিল সাধারণ একটা জিনিস , কিন্তূ এই সাধারণ একটা জিনিস সমাজের বাধা বা কাটা হোয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো । সমাজের প্রায় ৯০% যুব সমাজের মানুষ এই মদ, পচানি নিয়ে ব্যাস্ত বা ডুবে থাকতো। যা সমাজের জন্য খারাব , সেই স্কুল থেকে আমি ৩ কিমি দূরে গারাধুল হাই স্কুল নামে একটা হাই স্কুল এ ভূর্তী করে পঞ্চম শ্রেণীতে। মাঝে মাঝে বাবা হাট থেকে নেশা বাড়িতে এসে মাকে মারধর করতো প্রায় এসব করত, অার মা মুখ বুঝে সহ্য করত , মায়ের এই কষ্ট দেখে আমার একটু একটু করে বাবার প্রতি ঘৃণা জন্ম নেয় আমার মনে । বাবা শুধু আমার মাকে নয় আমাকেও বাদ দেননি , একটু ছোট ভুলের জন্য অনেক মারতেন আমাকে বাবা যখন হাট বা কোথাও থেকে আসতেন বাড়িতে তখন আমার খুব ভয় করতো জানি না আজকে কি ভুলের জন্য মার খাবো , বাবা আমাকে জিজ্ঞাসা করতেন আজকে তুই স্কুলে বা প্রাইভেট গিয়েছিস কি না। যদি বলতাম হা বেঁচে যেতাম , অার যদি বলি না খুব মারতো । মনে মনে আমি প্রতিজ্ঞা করলাম যে আমি কোনোদিন মদ, পচানি , বিড়ি কোনো নেশা করবোনা । বাবার সামনে পড়তে বসতাম বাবা শুধু একবার পড়া বলতো অার সেই লাইন আমি বারবার উচ্চারন করতাম জোরে জোরে , ছোটো ছিলাম তার উপরে নার্ভাস অনুভব করতাম , বাবার বলে দেওয়া পড়ার উচ্চারন ভুলে যেতাম যখন আমি উচ্চারন ভূলে যেতাম তখন আমি বাবাকে জিজ্ঞেসা কোরতাম বাবা রেগে বলতেন না, তখন আমি পাশে মা রান্না করতেন তাকে জিজ্ঞেসা করতাম , মা এটা কি বা এটার উচ্চারন কি হবে ? মা শুধু একটাই বলতেন বাবা আমিতো জানি না আমি একটা মুর্খ, আমি শুধু কাজ করতে জানি , আমি তোমাকে বলতে পারবোনা ! আমি হতাশ মনে বই এর দিকে তাকিয়ে থাকতাম । আমার আজও পরিষ্কার সেই দিন গুলো মনে আছে । ২০১৪ তে আমি নবম শ্রেণী তে ছিলাম ২০১৫ তে আমি মাধ্যমিক দিতাম কিন্তূ সেটা অারর হলোনা করোনা বাবা নেশা করতো আর বকবক করতো বাড়িতে এসে , অার আমার পড়াশোনা করতে পারতাম না , আর একটা ঘৃণা জন্মে ছিলো বাবার প্রতি আমার ! সেই কারণে । আমি বাবাকে বলেছিলাম বাবা তুমি নেশা করা ছেড়ে দাও , বাবা বলে আমার নেশার জন্য তোর কোন খানে অসুবিধে হচ্ছে ? বাবাকে আর কিছ না বলাটাই বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে করলাম । ২০১৫ তে মাধ্যমিক পরীক্ষা না দিয়ে পিসির মেঝ ছেলে বিশ্বজিৎ এর সাথে ওড়িশা একেক্ট্রিক টাওয়ার কাজে চলে যাই । কারণ আমি সিলেবাস সম্মূর্ণ করতে পারেনি তাই, আমি বিদেশে যাবার সি্ধান্ত নিয়েছিলাম ।সেখানে গিয়েও কাজে সুখ পেলাম না , বাড়ির কথা বারবার মনে পড়ে । বাড়ি যেতে ইচ্ছে করে বারবার , সেই সময় আমি প্রথম রেইল গাড়ি প্রথম চড়ি বা ভ্রমন করি । ওখান থেকে বাড়ি এসে আবার সেই স্কুলে ভূর্তী হলাম , আমি অন্য স স্কুলে ভূর্তি হতে ছেয়েছিলমা কিন্তূ সেটা আর হলোনা কারন আমার রেজিঃ